
সফল হওয়ার ৮ মন্ত্র
১. শূন্য থেকে সংগ্রামের মধ্য দিয়ে শুরু করুন। অনেক সফল ব্যক্তি খালি হাতেই তাদের কাজ শুরু করেছিলেন। পৃথিবীতে এমন অনেক উদাহরণ রয়েছে। তাই তাদের জীবনযাপন ও সংগ্রামের ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে শূন্য থেকেই শুরুটা হোক।
২. আপনার নিজের ভালো লাগাকে গুরুত্ব দিন। সে অনুযায়ী কাজ করুন। অর্থাৎ যে কাজটি আপনার ভালো লাগে সেটি করুন এবং নিজের জন্য প্রার্থনা করুন। অ্যাপলের প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবস বলেন, সবচেয়ে ভালো কাজের একমাত্র উপায় হলো নিজের কাজকে ভালোবাসা। আপনি যদি এটা না পেয়ে থাকেন তাহলে খুঁজতে থাকুন। না পাওয়া পর্যন্ত স্থির হবেন না।
ঠিকই বলেছেন তিনি। আপনি যদি নিজের আগ্রহের বিষয়ে কাজ করেন তাহলে সফলতাও ধরা দেবে আপনার কাছে।
৩. নিজের কাজ শুরু করুন সন্নাসীর মতো। কাজে ডুবে নিজেও হয়ে যান সন্নাসীর মতো। আমেরিকার মিলিয়নিয়ারদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশই আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে এ অবস্থায় এসেছেন। তাদের অধিকাংশই আবার ছোট ব্যবসা করেন আর তাদের সামর্থের চেয়ে কম অর্থে জীবন নির্বাহ করেন। তবে তাদের অর্থ তারা আবার ব্যবসায় বিনিয়োগ করেন। সাধারণত তারা পূর্বপুরুষের কাছ থেকে কোনো অর্থ পাননি। তাই কেনার আগে আরেকবার চিন্তা করুন- আপনার কি নতুন গাড়ি বা দামি যন্ত্রটা লাগবেই?
৪. অনেক কিছু ত্যাগ করে সর্বশক্তি দিয়ে কাজ শুরু করুন। অযথা কাজ, অবসর খোঁজা কিংবা এই একটু জিরিয়ে কাল থেকে শুরু করার মনোভাব বাদ দিন। পরিশ্রমী হোন। প্রতিদিন কমপক্ষে ১৬ ঘণ্টা কাজ করুন।
মনে রাখবেন, পরিকল্পিতভাবে আপনি যা বিনিয়োগ করবেন তার ফলাফল আপনি অবশ্যই পাবেন।
৫. সাহস করে ঝুঁকি নিন। ভুল হোক। আবার ঝুঁকি নিন। এভাবেই নিজের ওপর বিশ্বাস বাড়িয়ে তুলুন। বিশ্বাস থেকে সরে যাবেন না কখনো। তবে অধিকাংশ মানুষ অবিবেচনাপ্রসূত অথবা সাধ্যের অতিরিক্ত ঝুঁকি নিয়ে ফেলে, যা তাদের নেয়া উচিত নয়। তার বদলে স্মার্ট ঝুঁকি নিতে হবে, যা বাস্তবে পূরণ করা সম্ভব। নিজের ওপর বিশ্বাস রেখে সামনে এগিয়ে যান। ভুল হলেও তা স্বাভাবিক। আঘাত না পেয়ে কেউ সামনে এগোতে পারে না।
৬. পারিবারিক জীবনে স্থিতিশীলতা বজায় রাখুন। সফলতা অর্জনে বা সফলতা ধরে রাখতে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেখা গেছে, বিয়ে ভাঙার পর বহু সফল মানুষেরও সফলতায় ঘাটতি হয়ে গেছে। এ কারণে সফলতা অর্জন বা সফলতায় স্থির থাকার জন্য পারিবারিক স্থিতিশীলতা খু্বই প্রয়োজনীয়।
৭. কেউ এসে ভাগ্য বদলে দেবে- এমন চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসুন। নিজের ভাগ্য নিজেই তৈরি করুন। এটা ঠিক, সুযোগ যখন প্রস্তুতির সঙ্গে মিলে যায় তখন সৌভাগ্য আসে। কিন্তু এ কথার পাশাপাশি এটাও সত্য যে, সেই ভাগ্য খোঁজার কাজে কখনো থামতে নেই। আর যখনই কোনো সুযোগের আশা মিলে যায়, তাকে কাজে লাগান। এ কারণে বেশি বেশি বাস্তব জগতের সফল মানুষদের সঙ্গে পরিচিত হোন।
৮. নিজের কাজে বৈচিত্র্য আনুন। ভিন্ন ভিন্ন ধারণায় তা সম্পন্ন করুন। এতে অনেক কষ্ট ও সময় ব্যয় হতে পারে। তবে প্রাথমিকভাবে কষ্ট হলেও ভবিষ্যতে এর সুফল অবশ্যই পাবেন। শত কষ্টেও তাই পথ ছাড়া যাবে না। এই পথই আপনাকে পথ দেখিয়ে নিয়ে যাবে।